ছিফাতে হরফ (Sifaat of Harf) কি | ছিফাতে লাযেমাহ্ বিবরণ | Sifaat of Harf in Tajweed

ছিফাতে হরফ বা Sifaat of Harf তাজবীদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছিফাতে লাযেমাহ্ ও অন্যান্য ছিফাতের বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানুন সহজ বাংলায়

Aug 3, 2025 - 18:52
Aug 3, 2025 - 20:47
 0  323
ছিফাতে হরফ (Sifaat of Harf) কি | ছিফাতে লাযেমাহ্  বিবরণ | Sifaat of Harf in Tajweed
ছিফাতে হরফ - Arabic Tajweed Harf Attributes in Bangla

ছিফাত  শব্দের  অর্থ ও প্রাথমিক ধারণা

صِفَةٌ অর্থ : অবস্থা, গুণ। বহুবচনে صِفَاتٌ ইলমুত তাজবীদের পরিভাষায়

 হিফাত হল- كَيْفِيَةُ تَوَلُّدِ الْحَرُوْفِ وَخُرُوْجِهِ مِنْ مَخْرَجِهِ অর্থ : মাখরাজ থেকে হরফ গঠিত ও উচ্চারিত হওয়ার ধরন ও পদ্ধতিকে صِفَةٌ বলে।

 

মাখরাজ ও ছিফাতের মাঝে পার্থক্য:

মাখরাজ হল হরফ উচ্চারণের স্থান। যা আয়ত্ত করার দ্বারা হরফ উচ্চারণের সঠিক স্থান জানা যায়। আর ছিফাত হল হরফ উচ্চারণের পদ্ধতি। যা আয়ত্ত করার দ্বারা মাখরাজ থেকে হরফ উচ্চারণের সঠিক পদ্ধতি জানা যায়। অর্থাৎ হরফ উচ্চারণের সময় আওয়ায বা শ্বাস জারি থাকবে নাকি বন্ধ থাকবে, হরফের উচ্চারণ মোটা হবে নাকি পাতলা হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো ছিফাতের মাধ্যমে জানা যায়।

 

মোল্লা আলী কারী রহ. বলেন, "মাখরাজ হল দাড়িপাল্লা ও মাপযন্ত্রের মতো। এর দ্বারা হরফের মূল কাঠামো ও আকার, পরিমাপ ও পরিব্যাপ্তি সম্পর্কে জানা যায়। আর ছিফাত হল, স্বর্ণকারের কষ্টি পাথর। যা দ্বারা খাঁটি ও ভেজাল এবং শুদ্ধ ও ভুলের মাঝে পার্থক্য করা যায়।" (আলমিনাহুল ফিকরিয়‍্যাহ পৃ. ৯৬)

 

ছিফাত জানার ফায়দা:

নিহায়াতুল কাওলিল মুফীদ গ্রন্থকার বলেন, "ছিফাত জানার অন্তত তিনটি ফায়দা আছে। যথা-

 

ü এক. ছিফাতের মাধ্যমে একই মাখরাজ থেকে উচ্চারিত হওয়া একাধিক হরফের মাঝে পার্থক্য করা যায়। আল্লামা রুমানী রহ. (মৃত্যু: ৩৮৪ হি.) বলেন- "যদি ইত্ববাক ছিফাতটি না থাকতো, তাহলে طت এর মাঝে,  ظذ এর মাঝে এবং  ص س  এর মাঝে কোনো পার্থক্য থাকতো না।"

ü দুই. মুফাখখাম ও মুরাক্বাক্ব ( মোটা ও পাতলা ) হরফ চেনা যায়।

 ü তিন. ভিন্ন ভিন্ন মাখরাজ থেকে উচ্চারিত হফগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

 

হরফের ছিফাতসমূহ 'মুতাহাররিক'-এর তুলনায় 'সাকিন'-এ অধিক স্পষ্ট হয়ে প্রকাশিত হয়।

সহজ কথায়- صفات 'ছিফাত'-এর শাব্দিক অর্থ স্বভাব বা গুণ। পরিভাষায়-হরফের উচ্চারণভঙ্গিকে صِفَاتِ (ছিফাত) বলে।

 

হরফের ছিফাত প্রথমত প্রকার:

1)   صِفَاتِ لَازِمَةُ

2)   صِفَاتِ عَارِضَةً صِفَاتِ عَارِضِيَّةُ

. صِفَاتِ لَازِمَةُ (অপরিহার্য ছিফাত): যা আদায় না হলে মাখরাজ পূর্ণভাবে আদায় হয় না, অর্থাৎ হরফটি পূর্ণাঙ্গরূপে উচ্চারিত হয় না। যেমন- ص ছোয়াদের মধ্যে ইত্ববাক্ব ছিফাতটি আদায় করা না হলে সীনে পরিণত হয়ে যাবে। ছিফাতে লাযেমাহকে صِفَاتِ ذَاتِيَّةٌ এবং مُمَيِّزَةُ مُقَوْمَةٌ বলা হয়। ছিফাতের সকল উপাধিসমূহ বিভিন্ন বৈশিষ্টের কারণে হয়ে থাকে।

 . صِفَاتِ عَارِضَةُ /صِفَاتِ عَارِضِيَّةً(ছিফাতে আরযিয়্যাহ/ছিফাতে আরেযা): যে ছিফাত আদায় না করলেও মাখরাজ আদায় হয়ে যায়। হরফের উচ্চারণে পরিবর্তন আসে না; কিন্তু সৌন্দর্য নষ্ট হয়। যেমন-ر  এর উপর পেশ অথবা যবর হলে সেটাকে উচ্চারণে মোটা বা পুর করা উচিত। কিন্তু কেউ তা বারীক পড়ল এতে মাখরাজ আদায় হলেও উচ্চারণে সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে।

. صِفَاتِ لَازِمَةُ ছিফাতে লাযেমাহ্ 

ইহা প্রথমত দুই প্রকার:

. صِفَاتِ مُتَضَآدَّةُ (ছিফাতে মুতাযাদ্দাহ) বিরুদ্ধবাদী ছিফাত।

 . صِفَاتِ غَيْرِ مُتَضَاۗدُّةُ )ছফাতে গাইরে মুতাযাদ্দাহ) অবিরুদ্ধবাদী ছিফাত।

 . صِفَاتِ مُتَضَاۗدَةُ যার বিপরীতে অন্য ছিফাত থাকে। যেমন- হামসে বিপরীতে জেহ্ ছিফাতে মুতাযাদ্দাহ্ জোড়ে ১১টি। সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই-

 

১ম জোড়া:

. هَمْس (হামস)

. جَهْر (জাহর)

আলোচ্য বিষয়: শ্বাস বহাল থাকা বা না থাকা।

 . هَمْسٌ (হামস) : অর্থ হল ক্ষীণ এবং দুর্বল আওয়ায। ছিফাতের হরফগুলো উচ্চারণের সময় মাখরাজে আস্তে ধাক্কা লেগে শ্বাস বহাল থাকবে এবং আওয়ায ছোটো (নরম) হবে। হামসের হরফ ১০টি। যার সমষ্টি- فَحَثَهُ شَخْصٌ এগুলোকে হুরূফে মাহমুসাহ্ مَهْمُوسَهُ বলে।

 . جَهْر (জাহর): অর্থ- উঁচু এবং শক্তিশালী আওয়ায। উচ্চারণে শক্ত এবং শ্বাস বন্ধ থাকবে। জাহরের হরফকে মাজহুরাহ বলে। মাজহুরাহ্' হরফ ১৯টি; যার শাব্দিক রূপ عَظْمَ وَزْنُ قَارِي ذِي غَضٌ جَدَّ طَلَبَ

অর্থাৎ হামসের ১০টি হরফ ব্যতিত বাকী ১৯টি হুরূফে মাজহুরাহ্।"

 

২য় জোড়া:

.شِدَّتْ (শিদ্দাত);

. رِخْوَةٌ (রিখওয়াহ্);

. توسط (তাওয়াসুত)

আলোচ্য বিষয়: আওয়ায বন্ধ বা বহাল থাকা।

 . شِدَّتْ : অর্থ- শক্ত হওয়া। উচ্চারণে আওয়ায বন্ধ শক্ত হবে। শিদ্দাতের হরফ ৮টি। যার সমষ্টি- اَجِدُ قَطٌ بَكَ এগুলোকে হরফে শাদীদাহ্ شَدِيدَهُ বলে।

. رِخْوَةٌ: রিখওয়াহ অর্থ নম্রতা। উচ্চারণে আওয়ায জারী থাকবে। রিখওয়াহ' হরফ ১৬টি। যার সমষ্টি- خُذْغَثَ حَظٍّ فُضَّ شَوْصٍ زِيَّ سَاهٍ এগুলোকে হুরূফে রিখওয়াহ্ বলে।

. تَوَسُّطْ: অর্থ মধ্যবর্তী অবস্থা। তাওয়াসুত্ব-এর হরফগুলোকে হুরূফে মুতাওয়াসিসত্বাহ مُتَوَسِطَةُ বলে। মুতাওয়াসিত্বাহ-এর হরফ ৫টি- لن عُمر উচ্চারণে আওয়ায পুরোপুরি বন্ধও হবে না; আবার পুরোপুরি চালুও থাকবে না। এগুলোকে হুরূফে বাইনিয়‍্যাহওبَيْنِيَّةُ  বলা হয়।

 

৩য় জোড়:

. اِسْتِعْلَاء (ইস্তি'লা)

. اِسْتِفَالُ (ইস্তিফাল)

আলোচ্য বিষয়: পোর-বারিক

. اِسْتِعْلَاء : অর্থ- উঁচু হওয়া বা উপরে উঠানো। ছিফাতের হরফগুলো উচ্চারণের সময় জিহ্বার অধিকাংশ অংশ ওপরের তালুর দিকে উঠে আওয়ায মোটা হয়। ইস্তে'লার হরফ ৭টি। যার সমষ্টি خُصَّ ضَغْطٍ قِطْ এগুলোকে হুরূফে মুস্তা'লিয়াহ্ مُسْتَعْلِيَهُ বলে। 

. اِسْتِفَالَ : অর্থ- নিচের দিকে থাকা। উচ্চারণে জিহ্বা ওপরের দিকে উঠবে না। ফলে আওয়ায চিকন হবে। ইস্তিফালের হরফ ২২টি- ثَبَتَ عِزُّ مَنْ يَجَوِّدُ حَرْفَهُ اِذْ سَلَّ شَكًّا এগুলোকে হুরূফে মুস্তাফিলাহ مُسْتَفَلَ  বলে।

 

৪র্থ জোড়া:

. اِطْبَاقْ ইত্ববাক

. اِنْفِتَاحُ ইনফিতাহ

আলোচ্য বিষয়: জিহ্বার মধ্যখান ওপরের তালুর সঙ্গে মিলিয়া থাকা বা পৃথক থাকা।

. اِطْبَاقُ : অর্থ- মিলানো বা জড়ানো। উচ্চারণে জিহ্বার অধিকাংশ অংশ তালুর সাথে মিলিত হয় বা লেপ্টে যায়। ইতবাকের হরফ ৪টি ص ض ط ظ এগুলোকে হুরূফে মুত্ববাক্বাহ مُطْبَقَةُ বলে।

. الْاِنْفِتَاحُ : অর্থ- পৃথক থাকা বা খোলা রাখা। উচ্চারণে জিহ্বার অধিকাংশ অংশ তালু থেকে পৃথক থাকবে। ইনফিতাহ' হরফ ২৫টি-مَنْ أَخَذَ وَجَدَ سَعَتَ فَزَكًا حَقٌّ لَهُ شُرْبُ غَيْثٍ এগুলাকে হুরূফে মুনফাতাহ্ مُنْفَتَحْ বলে।

ইস্তি'লা ইত্ববাক্ব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কায়দা

ইস্তি'লার সাত হরফ দু'ভাগে বিভক্ত। যথা-

. مُسْتَعْلِيَةٌ مُطْبَقَةٌ : যে সকল হরফসমূহের মাঝে ইস্তি'লা ইত্ববাক্ব উভয় ছিফাত পাওয়া যায়। (জিহ্বার গোড়া তালুর দিকে উঠে এবং জিহ্বা তালুর সাথে মিশে থাকে) এমন হরফ চারটি। যথা- ص، ض، ط.ظ

 . مُسْتَعْلِيَةٌ مُنْفَتِحَةٌ : যে সকল হরফসমূহের মাঝে ইস্তি'লা 'ইনফিতাহ-এর সিফাত পাওয়া যায়। (জিহ্বার গোড়া তালুর দিকে উঠে কিন্তু জিহ্বা তালুর সাথে লেগে থাকে না বরং পৃথক থাকে। এমন হরফ ৩টি। যথা : خ ، غ ، ق     (আততাহদীদ পৃ. ১০৭)

الْحُرُوفُ الْمُسْتَعْلِيَةُ الْمُطْبَقَ   এর তাফখীম الْحُرُوفُ الْمُسْتَعْلِيَةُ الْمُنْفَتِحَةُ  তুলনায় মজবুত শক্তিশালী হবে। যেমন غَالِب এর তুলনায় ضَامِرٍ অধিক مُفَخّمِ হবে। অনুরূপ وَقُوْمُوا এর তুলনায় وَطُور এবং وَقِيلَ، وَغِيْضَ وَخِيفَةٌ এর তুলনায়  ضِیزىْ عَظِيمٍ   অধিক مُفَخّم হবে।

 (আত তাজবীদুল মুসাওয়ার পৃ. ১৮২)

 

৫ম জোড়া:

. اِذْلَاقْ ইযলাক

. اِصْمَاتُ ইসমাত

আলোচ্য বিষয়: জলদি কিংবা ধীরস্থিরভাবে আদায়।

. اِذْلَاقْ: অর্থ- পিছলে পড়া বা নড়াচড়া করা। ইযলাকের হরফ ৬টি যার সমষ্টি فَرَّ مِنْ لُّبِّ  এগুলোকে হরফকে মুযলাকাহ مُذْلَقَةُ বলে। হরফগুলোতারতীল ঠোঁট এবং জিহ্বার কিনারা হতে সহজে এবং তাড়াতাড়ি উচ্চারণ হবে।

. اِصْمَاتُ: অর্থ- স্থির থাকা বা জমে থাকা। ইছমাতের হরফগুলো নিজ মাখরাজ থেকে ধীরস্থির শক্তভাবে উচ্চারিত হয়। মাতের হরফ ২৩টি-

أَخَذْتُ جَدَّ سَعِي زَكَّا حَثَّهُ قِظٌ شَوْصٍ ضَغْطٍ এগুলোকে হুরূফে মুসমাতাহ্ مُصْمَتَةُ বলে।

ব্যাখ্যা: الاصمات এর শাব্দিক অর্থ বাধা প্রদান করা। পারিভাষিক অর্থ হরফ ঠোঁট বা জিহ্বার প্রান্ত ব্যতীত অন্যান্য মাখরাজ থেকে উচ্চারিত হওয়া। এই হরফগুলোর উচ্চারণ যবানে ভারী কটিন হওয়ার কারণে আরবী চার হরফ বা পাঁচ হরফ বিশিষ্ট শব্দের মূল অক্ষরে ইসমাতের হরফের সাথে অন্তত একটি ইযলাকের হরফ বিদ্যমান থাকা আবশ্যক। অতএব, প্রত্যেক চার বা পাঁচ অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ যাতে ইযলাকের কোন হরফ বিদ্যমান নেই, তা মূলত আরবী শব্দ নয়। বরং আজমী (অনারব থেকে আরবীতে আগত) শব্দ। যেমন- عَسْجَدُ

বি. দ্র. এই দু'টি ছিফাতের সম্পর্ক ইলমুছ ছরফ-এর সাথে। তাজবীদ বা তিলাওয়াত শাস্ত্রের সাথে এর তেমন সম্পর্ক নেই। তাই মুহাক্কিকীনদের অনেকে-যেমন ইমাম শাতিবী (মৃত: ৫৯০ হি.) তাঁর কিতাবে- দু'টি ছিফাত উল্লেখ করেননি।

(আহকামু কিরাআতিল কুরআন: পৃ. ৯৭)

 

তবে মুতাআখখিরীনের কেউ কেউ যেমন আল্লামা শায়েখ মাহমুদ বাসা "আলআমীদ" নামক কিতাবে এবং আল্লামা ক্বারী শায়েখ ফাত্‌হ মুহাম্মাদ "তাসহীহুল ক্বাওয়াইদ" এই দু'টি ছিফাতের সংজ্ঞা এভাবে বর্ণনা করেছেন: 

الإذلاق: হরফসমূহ মাখরাজ থেকে খুব সহজে হালকাভাবে কষ্ট ছাড়া আদায় হওয়া।

الاصمات: হরফসমূহ মাখরাজ থেকে কষ্ট মজবুতীর সাথে আদায় হওয়া।

(আহকামু কিরাআতিল কুরআন: পৃ.-৯৭)

 

জ্ঞাতব্য : صفات متضاده দশ ছিফাত থেকে প্রত্যেক হরফে যেকোনো পাঁচটি ছিফাত অবশ্যই পাওয়া যাবে। ঐগুলোর মধ্য থেকে পাঁচটি ছিফাত অর্থাৎ حهر ، اطباق ، استعلاء ، شدت اصمات সবল (قوى) এবং এগুলোর বিপরীতগুলো দূর্বল (ضعيف) صفات (مفرده) غير متضادة এর মধ্যে لين ছাড়া সবই সবল। তাই প্রত্যেক হরফে যত বেশি সবল صفت থাকবে, সে হরফটি ততই সবল হবে এবং যত বেশি দূর্বল صفت থাকবে, ততই দূর্বল হবে।

সবল দূর্বল হিসাবে হরফ পাঁচ প্রকার নিম্নে তার নকশা দেয়া হলো-

. অতি সবল ৪টি

. সবল ৬টি

.মধ্যম ৮টি

. দূর্বল ৫টি

. অতি দূর্বল ৬টি

 ط ، ض ،

 ظ ، ق

ج ، د ، ر ، ص ،

ز ، غ

ء ، ب ، ت ، ا

 ، خ ، ذ ، ع ، ك

 

س ، ش ، ل ،

 و ، ي

 

ث ،  ح ، ن ، م ،

 ف ، ه

নোট : فوائد مکيه এর লিখক با কে সবল  زا কে মধ্যম হরফের মধ্যে গণ্য করেছেন। نفحة الغبرية, خلاصة البيان, نهاية القول المفيد   অন্যান্য গ্রহণযোগ্য কিতাবাদিতে زا কে সবল এবং  بকে মধ্যম হরফের মধ্যে গণনা প্রাধান্য দিতে গিয়ে সবলের মধ্যে গণ্য করেছেন। 

. ছিফাতে গাইরে মুতাযাদ্দাহ্:

যেসব ছিফাতের বিপরীতে অন্যকোনো ছিফাত নেই সেগুলোকে ছিফাতে গাইরে মুতাযাদ্দাহ্ বা ছিফাতে লাযেমাহ মুনফারিদাহ (صِفَاتِ لَازِمَةُ مُنْفَرِدَة) ছিফাতে গাইরে মুতাযাদ্দাহ্ ৭টি:

. ছফীর;

. ক্বলক্বলাহ;

. লীন;

. ইনহিরাফ;

. তাকরার;

. তাফাশী;

. ইস্তিত্বালাত।

কেহ কেহ হরফে হাওয়াইয়্যাহ্ এবং হরফে গুন্নাহকেও ছিফাতে গাইরে মুতাযাদ্দাহ' অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সে হিসেবে ছিফাত মোট- ১১+ = ২০টি।

 . صَفِيْر (ছফীর): হরফ উচ্চারণকালে চড়ুই পাখির আওয়াযের মতো আওয়ায হওয়া। ছফীরের হরফ ৩টি: ز ص س এগুলোকে হুরূফে ছফীরিয়‍্যাহ صَفِيْرِيَّةٌ বলে। হরফগুলো আদায় করার সময় আওয়ায হুইসেল বা ভেঁপুর মতো তেজ হওয়া উচিত।

. قَلْقَلَةْ (ক্বলক্বলাহ): ক্বলক্বলাহ অর্থ প্রতিশব্দ হওয়া। হরফ উচ্চারণকালে শক্তভাবে মাখরাজে ধাক্কা লাগার কারণে প্রতিশব্দ হওয়া। ক্বলক্বলাহ' হরক ৫টি: ق  ط  ب  ج  د যার শাব্দিক রূপ قُطُبُ جَدٍّ এগুলোকে বলা হয় হরফে ক্বলক্বলাহ  حروف قلقلهএই হরফগুলো যখন সাকিন হয় তখন এগুলোর মাখরাজের মধ্যে কঠোরভাবে কম্পন হওয়া উচিত। ক্বাফ-এর মধ্যে ছিফাতে ক্বলক্বলাহ বাকী ৪টি হরফের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। কম্পনের সময় যবর, যের অথবা পেশ-এর আভাসও যেন সৃষ্টি না হয়, অন্যথায় ক্বলক্বলাহ বিশুদ্ধ হবে না।

যদি ক্বলক্বলাহর হরফ তাশদীদযুক্ত হয় তাহলে তা উচ্চারণের সময় দীর্ঘ সময় লাগিয়ে ক্বলক্বলাহ আদায় করতে হবে। অন্যথায় তাশদীদযুক্ত অক্ষর তাশদীদবিহীন (মুখাফফাফ) হয়ে পড়বে। আর যদি ক্বলক্বলার হরফ মুখাফফাফ হয় তাহলে তা আদায় করার ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগানো যাবে না। অন্যথার মুখাফফাফ তাশদীদযুক্ত হয়ে যাবে। এটি মারাত্মক ভুল।

মুশাদ্দাদ (তাশদীদযুক্ত) হরফে ক্বলক্বলাহর উদাহরণ - بِالْحَقِّ وَتَبَّ . لَحَقٌّ

মুখাফ্ফাফ হরফে ক্বলক্বলাহর উদাহরণ- خَلَقَ - فِي الْعُقَدِ - اَحَدٌ

ব্যাখ্যা: ওয়াকফ-এর স্থলে সাকিন হলে সেখানে ক্বলক্বলাহর খেয়াল রাখা বেশি জরুরী। কারণ, ওয়াকফ করা হয় শ্বাস খতম হয়ে যাওয়ার সময়। যার ফলে আওয়ায দুর্বল হয়ে যায় এবং ছিফাতে ক্বলক্বলাহ প্রকাশ না পাওয়ার জোরদার সম্ভাবনা থাকে।

যেমন- مُحِيطَ ــــــ ذَاتِ الْبُرُوجِ ـــــ فِي الْبِلادِ ـــــ 

এই উদাহরণগুলোতে জীম, দার্ল এবং ত্বোয়া ওয়াক্বফের কারণে সাকিন। অতএব, ওয়াক্বফের কারণে সাকিন অক্ষরে ক্বলক্বলাহর প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা আবশ্যক। আল্লামা জাযরী (রহ.) ব্যাপারে সতর্ক করেছেন-

وَبَيْنَنَ مُقَلْقَلًا إِنْ سَكَنَا - وَإِن يَكُنْ فِي الْوَقْفِ كَانَا أَبِينَا.

অর্থাৎ, হরফে ক্বলক্বলাহ সাকিন হলে খুব ভাল করে ক্বলক্বলাহর উচ্চারণ করবে। আর যদি হরফে ক্বলক্বলাহ ওয়াক্বফের মধ্যে হয় (ওয়াক্বফের কারণে সাকিন হয়) তাহলে তার চেয়ে অধিক প্রকাশ করবে।

সারকথা হলো- ক্বলক্বলাহর স্তর ৩টি বা ক্বলক্বলাহ ৩ প্রকার।

. قَلْقَلَةٌ أَقْوَى   বা  أَكْبَرُ   . قَلْقَلَةٌ قَوِى  বা قَلْقَلَةُ كُبرى  . قَلْقَلَةٌ ضَعِيفَةٌ

. قَلْقَلَةُ أَقوى: তাশদীদযুক্ত অবস্থায় ক্বলক্বলাহর হরফে ওয়াকফ করা হলে, তাকে ক্বলক্বলাহয়ে আক্বওয়া বা আকবার বলা হয়। যেমন- لَهَبٍ وَّتَبْ - فِي الْحَجّ 

ক্বলক্বলাহ' হরফ তাশদীদযুক্ত হলে, ওয়াক্ফ অবস্থায় একটু বেশি সময় লাগিয়ে ক্বলক্বলাহ আদায় করতে হয়।

. تَلْقَلَهُ قَوِى : জযমযুক্ত অবস্থায় ক্বলক্বলার হরফে ওয়াকফ করা হলে, তাকে ক্বলক্বলায়ে ক্বাওয়ী বা ক্বলক্বলায়ে কুবরা বলা হয়।

যেমন- وَالسَّمَاءِ ذَاتِ الْبُوُوُجُ - رَحِيقُ - مُحِيطٌ - فِي الْعُقَدُ

ওয়াকফ অবস্থায় ক্বলক্বলার উচ্চারণ খুব ভাল করে করতে হয়।

 

. قُلْقَلَةُ ضَعِيف : শব্দের মধ্যভাগে যদি এই পাঁচ হরফের কোনো একটি হরফ সাকিন হয় তবে ইহাকে ক্বলক্বলায়ে যয়ীফ বা ক্বলক্বলায়ে ছুগরা বলা হয়।

যেমন-  يَقْطَعُونَ - خَلَقْنَا - أَطْعَمَهُمْ

বর্ণিত তিন প্রকারের প্রথম দুই প্রকারকে বলা হয় ক্বলক্বলায়ে শাদীদ তৃতীয় প্রকারকে বলা হয় ক্বলক্বলায়ে খাফীফ। অর্থাৎ ক্বলক্বলাহ প্রথমত দুই প্রকার-

. ক্বলক্বলায়ে শাদীদ

. ক্বলক্বলায়ে খাফীফ।

হরফের স্তর অনুযায়ী ক্বলক্বলাহ দুই প্রকার:

. قَلْقَلَةُ اَعْلى :  এটা  ق  এবং ط  এর মধ্যে ছিফাতে ইস্তে'লা থাকার কারণে হয়ে থাকে।

. قَلْقَلَةُ اَدْنى : এটা অবশিষ্ট তিন হরফ ب ، ج ، د এর মধ্যে হয়ে থাকে।

উচ্চারণের দিক থেকে ক্বলক্বলাহ দুই প্রকার: পুর বারীক

পুর: ق এবং ط এর মধ্যে قلقلة পুর হবে। আওয়ায যবরের দিকে ধাবিত হবে।

বারিক : د  ــــــ ج ـــــــ  ب এর মধ্যে قلقلة বারীক হবে। আওয়ায কিছুটা যেরের দিকে ধাবিত হবে।

বিশেষ জ্ঞাতব্য: হরকত বিশিষ্ট হরফ উচ্চারণের ক্ষেত্রে দু'টি আমল করতে হয়-

. মাখরাজকে পরস্পর পৃথক করতে হয়।

. () ফাতহা (যবর) হলে দাঁতের পাটিদ্বয় পৃথক করতে হয়।

যেমন: مَ

() যুম্মা (পেশ) হলে ঠোঁটদ্বয় গোল করতে হয়। যেমন:مُ

() কাসরা (যের) হলে জিহ্বার মধ্যভাগ উপরের দিকে উঠে যায় এবং দাঁতের নিচের পাটি নিচের দিকে নামিয়ে দিতে হয়। যেমন: مِ

এটা হল আরবী হরফসমূহ উচ্চারণের সাধারণ নীতি। কিন্তু ক্বলক্বলার পাঁচ হরফকে সাকিন অবস্থায় এই মূলনীতির আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।

ক্বলক্বলাহ' হরফসমূহ ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ:

ক্বলক্বলাহর হরফসমূহ : الحروف الشديد অর্থাৎ   اجد قط بكت  অন্তর্ভুক্ত। হরফগুলো উচ্চারণের সময় অঙ্গদ্বয় পরস্পর মিলিত হয়ে মাখরাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সাকিন অবস্থায় মাখরাজে বাতাস আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার দরুন কণ্ঠনালীতে কাঠিন্যতা সৃষ্টি হয়। যেমন: اَقْ উক্ত কাঠিন্যতা দূরকরণার্থে ক্বলক্বলাহ' পাঁচ হরফকে সাধারণ সাকিন হরফের ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে।

সাকিন অবস্থায় ক্বলক্বলার পাঁচ হরফ আদায়ের পদ্ধতি : () এই পাঁচ হরফ সাকিন অবস্থায় অন্যান্য সাকিনযুক্ত হরফের ন্যায় মাখরাজ পরস্পর মিলিত হওয়ার মধ্যমে উচ্চারিত হয় না। বরং হরকতযুক্ত হরফের ন্যায় রাজ পরস্পর পৃথক হয়ে যায়।

 

() তবে পুরোপুরি হরকতযুক্ত হরফের মতোও নয়। হরকতের একটি আমল-অর্থাৎ মাখরাজ পৃথক হওয়া- তাতে প্রযোজ্য হয়। কিন্তু দ্বিতীয় আমল-অর্থাৎ ফাতহা অবস্থায় দাঁতের পাটি পৃথক হওয়া, যুম্মা অবস্থায় মুখ গোল হওয়া এবং কাসরা অবস্থায় দাঁতের নিচের পাটি নিচের দিকে নামা-প্রযোজ্য হয় না।

সাধারণ সাকিন হরফ, ক্বলক্বলাবিশিষ্ট সাকিন হরফ হরকতযুক্ত হরফের তুলনা

          

হরফের অবস্থা

আদায় পদ্ধতি

আদায়ের সময় যা যুক্ত হয়

সাধারণ সাকিন হরফ

মাখরাজ পরস্পর মিলিত হওয়ার মাধ্যমে

কিছুই না

ক্বলক্বলাবিশিষ্ট সাকিন হরফ

 

মাখরাজ পরস্পর পৃথক হওয়ার মাধ্যমে

কিছুই না

হরকতযুক্ত হরফ

 

মাখরাজ পরস্পর পৃথক হওয়ার মাধ্যমে

হরকতের আমল

উক্ত ছকটিতে দেখা যাচ্ছে 'ক্বলক্বলাবিশিষ্ট সাকিন হরফ' মাখরাজ পৃথক হওয়ার দিক থেকে হরকত ওয়ালা হরফের মতো। আর হরকতের আমল যুক্ত না হওয়ার দিক থেকে সাধারণ সাকিন হরফের মতো। (আততাজবীদুল মুসাওয়ার, পৃ., ১৮৬)

 

ক্বলক্বলাহ আদায়ে কিছু ভুল:

ক্বলক্বলার উচ্চারণকে তিন হরকতের (ফাতাহ, যুম্মা কাসরা) কোনো একটির দিকে ধাবিত করা। যেমন: لَقَدْ كَانَ، تُبْتُمْ إِبْرَاهِيمُ

* ক্বলক্বলার হরফের পর থেমে পরবর্তী হরফ বিলম্বে উচ্চারণ করা।

* শেষে হামযাহ উচ্চারণ করা। যেমন: احد ،  الصمد 

উস্তাদের কাছ থেকে বাস্তব অনুশীলনের মাধ্যমে তা যথাযথ অনুধাবন সম্ভব।

. لِيْن (লীন): অর্থ নরমভাবে উচ্চারণ হওয়া। (اللين লীন এর শাব্দিক অর্থ: السهولة সহজতা) লীনের হরফ ২টি: ي ـــــ و এগুলোকে এরূপ নম্রভাবে আদায় করা উচিত যে, এগুলোতে মদ করতে চাইলে যেনো মদ হতে পারে।

. اِنْحِرَافْ (ইনহিরাফ): শাব্দিক অর্থ- الْمَيْلُ মোড় নেওয়া। পথ পরিবর্তন করা। ভিন্ন পথে যাওয়া, ঝুঁকা, ফিরে যাওয়া। পারিভাষিক অর্থ হরফ উচ্চারণের আওয়াজ ভিন্ন পথে মোড় নেওয়া। অর্থাৎ 'জিহ্বা' আওয়াজ চলাচলের পথ রুদ্ধ করে রাখার দরুন আওয়াজ সমানভাবে স্বাভাবিকরূপে সামনে অগ্রসর হতে না পারা। ইনহিরাফের হরফ ২টি ر ــــــ ل উচ্চারণের সময় একটি অপরটির মাখরাজের দিকে ঝুঁকে থাকে। এগুলোকে বলা হয় হুরূফে মুনহারিফা (مُنْحَرِفَةُ) ل এর انحراف এর চিত্র:

চিত্র বিবরণী: আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, লামের আওয়াজ স্বরতার থেকে বের হয়ে জিহ্বার মধ্যখান পর্যন্ত সোজা স্বাভাবিকভাবে এসেছে। অতপর জিহ্বা আওয়াজ চলাচলের পথ রোধ করে রেখেছে। ফলে আওয়াজ সোজা অগ্রসর হতে না পেরে জিহ্বার দুই সাইড দিয়ে মোড় নিয়ে চলে যাচ্ছে।

. تَكْرَارْ (তাকরার): তাকরার অর্থ বারবার হওয়া বা কেঁপে ওঠা। তাকরারের হরফ ১টি:ر উচ্চারণের সময় জিহ্বার মাথা কেঁপে উঠে।

تکرار -এর আভিধানিক অর্থ হল- কোনো কিছুর পুনরাবৃত্তি করা, দোহরানো।

 

তাকরার প্রকার :

. মুশাবাহাতে তাকরার বা পুনরাবৃত্তির সদৃর্শপনা বা সাযুজ্য।

. হাকীকতে তাকরার তথা প্রকৃত পুনরাবৃত্তি।

তাকরার শুধু  ر - এর মধ্যে পাওয়া যায়। হরফটি উচ্চারণ করার সময় পুনরাবৃত্তির সাযুজ্য অর্থাৎ, আওয়াযের মধ্যে কম্পনের মতো সৃষ্টি হয়। হাকীকতে তাকরার নিষিদ্ধ। এটা থেকে বেঁচে থাকা জরুরী। বিশেষতঃ যখন তাশদীদযুক্ত হয়। কারণ, তাশদীদযুক্ত হওয়ার সময় হাকীকতে তাকরার তথা প্রকৃত পুনরাবৃত্তি প্রকাশ পাওয়ার জোরদার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে একটি ر   কয়েকটি ر য়ে পরিণত হয়ে যায়।

যেমন- أَيْنَ الْمَفَرَّ, مُسْتَقَرُّ فِي الْحَرِّ 

. تَفَشِي (তাফাশী): তাফাশী অর্থ শাঁ শাঁ শব্দ হওয়া/মুখের ভেতর আওয়ায ছড়িয়ে পড়া। তাফাশীর হরফ ১টি: شش হরফটি উচ্চারণের সময় মুখের ভেতর আওয়ায ছড়িয়ে পড়ার কারণে শাঁ শাঁ শব্দ হয়। এই হরফটিকে বলা হয় হরফে মুতাফাশশী مُتَفَشِّى

যেমন- غَوَاشِ  ـــ  الْعَرْشِ

.  اسْتِطَالَتْ (ইস্তিত্বালাত): ইস্তিত্বালাতের অর্থ লম্বা হওয়া। ইস্তিত্বালাতের হরফ  ১টি: ض | ض উচ্চারণের সময় মাখরাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ تَوَاجِذْ থেকে ضَوَاحِكْ পর্যন্ত আওয়ায বহাল রেখে উচ্চারণ করতে হয়। হরফটিকে বলা হয় হরফে মুস্তাত্বিল مُسْتَطِيل 

الغنة কেউ কেউ গুন্নাহ কে "সিফাতে লাজিমা" এর অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কেননা, গুন্নাহ ن م - এর আবশ্যকীয় ছিফাত। দু'টি হরফ কখনো গুন্নাহ থেকে খালি হয় না। চাই তা হরকতযুক্ত হোক, সাকিনযুক্ত হোক অথবা তাশদীদ যুক্ত হোক। (হেদায়াতুল ক্বারী পৃ. ৯১)

 

শক্তিশালী দুর্বল ছিফাত বিবেচনায় আরবী হরফসমূহ পাঁচ প্রকার। যথা:

. أُقوى সর্বাধিক শক্তিশালী হরফ: এমন হরফকে বলা হয়, যে হরফের সকল ছিফাত قوي শক্তিশালী এমন হরফ একটি- ط

অতএব, ط হল সর্বাধিক শক্তিশালী ছিফাত বিশিষ্ট হরফ।

. قوي  (শক্তিশালী) : এমন হরফকে বলা হয়, যে হরফের অধিকাংশ ছিফাত قوي এমন হরফ ৮টি। যথা: ب  ج  د  ر  ص  ض  ق  ظ

. مُتَوَسِطٌ )মধ্যম(: যে হরফের ছিফাত সংখ্যা শক্তিশালী দুর্বল হওয়ার দিক দিয়ে সমান সমান। এমন হরফ ৫টি। যথা: أغل من

8. ضَعِيفٌ )দুর্বল) : এমন হরফকে বলা হয়, যে হরফের অধিকাংশ ছিফাত দুর্বল। এমন হরফ ১০টি। যথা ت  خ  ذ  ز  س  ش  ع  ك و  ي

. اَضْعَفُ (অধিক দুর্বল): এমন হরফকে বলা হয়, যে হরফের সকল ছিফাত দুর্বল। এমন হরফ ৭টি। যথা: ث  ح  ف  ه এবং মদের তিন হরফ।

(আহকামু কিরাআতিল কুরআন পৃ. ১১৫-১১৬), (মাআরিফুত তাজবীদ)

~~~~

আরো জানুন: তিলাওয়াতের শুরুতে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়া

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow